ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৬
দৈনিক রেলওয়ে বার্তা

ব্যালাস্টের গুণগতমান প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা: বাংলাদেশ রেলওয়ের কঠোর প্রতিবাদ



ব্যালাস্টের গুণগতমান প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা: বাংলাদেশ রেলওয়ের কঠোর প্রতিবাদ

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বাস্তবায়িত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রকল্প নিয়ে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের উপ-পরিচালক (প্রকৌশল) (চলতি দায়িত্ব) গৌতম বিশ্বাস স্বাক্ষরিত প্রতিবাদপত্রে প্রকাশিত অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে একটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মায়ানমারের নিকটে গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্প এবং আখাউড়া–লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্পসমূহে ব্যবহৃত ব্যালাস্ট চুক্তির শর্তানুযায়ী নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)সহ বিভিন্ন স্বনামধন্য পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক RFI (Request for Inspection) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে ব্যালাস্টের গুণগতমান সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ ছাড়া আইএমইডিসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা নিয়মিতভাবে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন প্রদান করে থাকে।

প্রতিবাদপত্রে আরও জানানো হয়, নবনির্মিত এসব রেলপথে বর্তমানে নির্ধারিত ও কাঙ্ক্ষিত গতিতে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল করছে এবং এ পর্যন্ত ব্যালাস্টের গুণগতমান সংক্রান্ত কোনো ধরনের ত্রুটি বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানিকৃত চুনাপাথর দোহাজারী–কক্সবাজার প্রকল্পে ব্যবহারের যে দাবি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, উক্ত প্রকল্প এলাকায় সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১ মার্চ ঠিকাদার কর্তৃক ব্যালাস্ট সরবরাহ করা হয়েছে। অপরদিকে আখাউড়া–লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পন্ন হয়। ফলে প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে মধ্যপাড়া ও পাকুড় স্টোন ব্যালাস্ট ব্যবহার করা হয়েছে এবং এসব ব্যালাস্টের গুণগতমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী উৎকৃষ্ট বলে প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়

প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, রেললাইনে ব্যবহৃত প্রতিটি ব্যালাস্ট চুক্তিপত্রের সংস্থান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরীক্ষা সম্পন্ন করে পরামর্শক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের সুপারিশক্রমেই রেললাইনে ব্যবহার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মনে করে, উক্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট সকল রেলপথ দিয়ে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্নভাবে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবাদপত্রে বিভ্রান্তিকর তথ্য সংশোধন করে প্রকৃত ও দায়িত্বশীল তথ্য প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

দৈনিক রেলওয়ে বার্তা

বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারি ২০২৬


ব্যালাস্টের গুণগতমান প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা: বাংলাদেশ রেলওয়ের কঠোর প্রতিবাদ

প্রকাশের তারিখ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বাস্তবায়িত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রকল্প নিয়ে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের উপ-পরিচালক (প্রকৌশল) (চলতি দায়িত্ব) গৌতম বিশ্বাস স্বাক্ষরিত প্রতিবাদপত্রে প্রকাশিত অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে একটি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মায়ানমারের নিকটে গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্প এবং আখাউড়া–লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্পসমূহে ব্যবহৃত ব্যালাস্ট চুক্তির শর্তানুযায়ী নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)সহ বিভিন্ন স্বনামধন্য পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক RFI (Request for Inspection) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে ব্যালাস্টের গুণগতমান সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ ছাড়া আইএমইডিসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা নিয়মিতভাবে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন প্রদান করে থাকে।

প্রতিবাদপত্রে আরও জানানো হয়, নবনির্মিত এসব রেলপথে বর্তমানে নির্ধারিত ও কাঙ্ক্ষিত গতিতে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল করছে এবং এ পর্যন্ত ব্যালাস্টের গুণগতমান সংক্রান্ত কোনো ধরনের ত্রুটি বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানিকৃত চুনাপাথর দোহাজারী–কক্সবাজার প্রকল্পে ব্যবহারের যে দাবি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, উক্ত প্রকল্প এলাকায় সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১ মার্চ ঠিকাদার কর্তৃক ব্যালাস্ট সরবরাহ করা হয়েছে। অপরদিকে আখাউড়া–লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে সম্পন্ন হয়। ফলে প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে মধ্যপাড়া ও পাকুড় স্টোন ব্যালাস্ট ব্যবহার করা হয়েছে এবং এসব ব্যালাস্টের গুণগতমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী উৎকৃষ্ট বলে প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়

প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, রেললাইনে ব্যবহৃত প্রতিটি ব্যালাস্ট চুক্তিপত্রের সংস্থান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরীক্ষা সম্পন্ন করে পরামর্শক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের সুপারিশক্রমেই রেললাইনে ব্যবহার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মনে করে, উক্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট সকল রেলপথ দিয়ে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্নভাবে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবাদপত্রে বিভ্রান্তিকর তথ্য সংশোধন করে প্রকৃত ও দায়িত্বশীল তথ্য প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।


দৈনিক রেলওয়ে বার্তা

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মো: মনিরুজ্জামান (মনির) 

কপিরাইট © ২০২৬ দৈনিক রেলওয়ে বার্তা । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত