চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রেলপথে আইসিডি কমলাপুরগামী কন্টেইনার পরিবহনে চরম অব্যবস্থাপনা, ভয়াবহ কন্টেইনার জট এবং আইসিডি কার্যক্রমের প্রায় সম্পূর্ণ অচলাবস্থার অভিযোগ উঠেছে। এই সংকট নিরসনে অবিলম্বে চারটি রেল ইঞ্জিন নির্দিষ্ট করে নিয়মিত ট্রেন পরিচালনার জরুরি নির্দেশনা প্রদানের দাবি জানিয়েছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশন (ডিসিএএ)।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো এক লিখিত আবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে সীমিত সংখ্যক রেল ইঞ্জিন ও অনিয়মিত ট্রেন চলাচলের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে আইসিডি-গামী কন্টেইনারের ভয়াবহ জট সৃষ্টি হয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে আইসিডি কমলাপুরের কার্যক্রমে, যা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও নিষ্ক্রিয়তার ফলে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়িক অংশীজন চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কন্টেইনার আটকে থাকায় পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে, উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে এবং দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ডিসিএএ জানায়, সংকট নিরসনে একাধিকবার যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হলেও সেসব সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বরং পরিস্থিতি দিন দিন আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে, যা প্রশাসনিক ব্যর্থতারই প্রতিফলন।
সংগঠনটির তথ্যমতে, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে আইসিডি-গামী প্রায় ১ হাজার ৩০০ টিইইউএস (TEUs) কন্টেইনার আটকে রয়েছে। যদিও পূর্ববর্তী সভাগুলোতে ন্যূনতম চারটি রেল ইঞ্জিন স্থায়ীভাবে নিয়োজিত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল, বাস্তবে তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
এমতাবস্থায়, জাতীয় অর্থনীতি ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে অবিলম্বে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আইসিডি কমলাপুরগামী কন্টেইনার পরিবহনের জন্য কমপক্ষে চারটি রেল ইঞ্জিন নির্দিষ্ট করে নিয়মিত ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দাবি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে সৃষ্ট যে কোনো অচলাবস্থা, আর্থিক ক্ষতি বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।
চিঠিতে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক আলম স্বাক্ষর করেন।

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রেলপথে আইসিডি কমলাপুরগামী কন্টেইনার পরিবহনে চরম অব্যবস্থাপনা, ভয়াবহ কন্টেইনার জট এবং আইসিডি কার্যক্রমের প্রায় সম্পূর্ণ অচলাবস্থার অভিযোগ উঠেছে। এই সংকট নিরসনে অবিলম্বে চারটি রেল ইঞ্জিন নির্দিষ্ট করে নিয়মিত ট্রেন পরিচালনার জরুরি নির্দেশনা প্রদানের দাবি জানিয়েছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশন (ডিসিএএ)।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো এক লিখিত আবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে সীমিত সংখ্যক রেল ইঞ্জিন ও অনিয়মিত ট্রেন চলাচলের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে আইসিডি-গামী কন্টেইনারের ভয়াবহ জট সৃষ্টি হয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে আইসিডি কমলাপুরের কার্যক্রমে, যা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও নিষ্ক্রিয়তার ফলে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়িক অংশীজন চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কন্টেইনার আটকে থাকায় পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে, উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে এবং দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ডিসিএএ জানায়, সংকট নিরসনে একাধিকবার যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হলেও সেসব সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবে কার্যকর হয়নি। বরং পরিস্থিতি দিন দিন আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে, যা প্রশাসনিক ব্যর্থতারই প্রতিফলন।
সংগঠনটির তথ্যমতে, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে আইসিডি-গামী প্রায় ১ হাজার ৩০০ টিইইউএস (TEUs) কন্টেইনার আটকে রয়েছে। যদিও পূর্ববর্তী সভাগুলোতে ন্যূনতম চারটি রেল ইঞ্জিন স্থায়ীভাবে নিয়োজিত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল, বাস্তবে তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
এমতাবস্থায়, জাতীয় অর্থনীতি ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখতে অবিলম্বে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আইসিডি কমলাপুরগামী কন্টেইনার পরিবহনের জন্য কমপক্ষে চারটি রেল ইঞ্জিন নির্দিষ্ট করে নিয়মিত ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দাবি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে সৃষ্ট যে কোনো অচলাবস্থা, আর্থিক ক্ষতি বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।
চিঠিতে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক আলম স্বাক্ষর করেন।

আপনার মতামত লিখুন